জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের দৃশ্যপট নিয়ে ‘ক্যামেরায় বিদ্রোহ’ শিরোনামে এক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো । সেই ক্যাম্পেইনে দেশ বিদেশ থেকে প্রায় ১৫০০ অংশগ্রহন করে। দেশের খ্যাতনামা নির্মাতাগন বিচারক হিসেব শীর্ষ ১০জনকে বাছাই করে। বিচারকদের রায়ে শীর্ষ ১০ জনের মধ্যে বাঁশখালীর সন্তান রহিম সৈকত ৫ম স্থান অধিকার করেন। মঙ্গলবার প্রথম আলোর কার্যালয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেয়া হয়।
এর আগে এই তরুণ কন্টেন্ট নির্মাতা ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে পুরস্কৃত হোন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন সনদ ও এওয়ার্ড তুলে দেন। ২০২০ সালে সারা দেশের হাজার প্রতিযোগিকে পেছনে ফেলে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়োজিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহারের উপর তাঁর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র অসামাজিক নেটওয়ার্ক নিয়ে সারা দেশে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশ সেরা নির্মাতা হিসেবে স্বীকৃতি পান। এই নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে তাঁকে নিয়ে প্রচারিত হয় ফিচার ও প্রতিবেদন । ২০২২ সালে আইকনিক শিক্ষক হিসেবে এটুআই ও গ্রামীনফোন কর্তৃক আইকনিক শিক্ষক হিসেবে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। ২০২৪ সালে এসে প্রথমআলোর কাছ থেকে পান আরেকটি স্বীকৃতি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নৈসর্গিক উপজেলা বাঁশখালীর জলকদর খাল বিধৌত ইউনিয়ন কাথরিয়ার ইউনিয়নের পূর্ব কাথরিয়া ডিগ্রিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করা রহিম সৈকত একজন পেশায় শিক্ষক ও সাংবাদিক। আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া নয়নতারা উচ্চ বিদ্যালয়ে ডিজিটাল টেকনোলজি বিষয়ে পাঠদানের পাশাপাশি জাতীয় দৈনিক বাংলায় আনোয়ারা-বাঁশখালী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়মিত সংবাদ লিখছেন তিনি।
রহিম সৈকত বলেন,” একজন প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহী ব্যক্তি হিসেবে চারপাশের ঘটনাপ্রবাহ গুলো ক্যামেরায় তুলে আনা এক সময় শখ হলেও বর্তমানে অনেকটা পেশা বলা যায়। একদিন এই ভিজ্যুয়াল গল্প গুলো মাটি ও মানুষের কথা বলবে। ইতিহাসের বাক বদলের গল্প বলবে । ভবিষ্যতে একজন ডকুমেন্টারি নির্মাতা হওয়ার অভিপ্রায় রাখি।
Leave a Reply